Email:-bdgunman@gmail.com


কামেশ্বরী যোগিনী সাধন



                   কামেশ্বরী যোগিনী সাধনঃ
পদ্ধতিঃ- নিত্যক্রিয়া সমাপন পূর্বক পূর্বোক্ত নিয়মে অষ্টদল পদ্ম অঙ্কিত করিয়া মধ্যে “ওঁ হ্রীং আগচ্ছ কামেশ্বরী স্বাহা” মন্ত্রটি লিখিয়া যথারীতি পূজাপদ্ধতি ক্রমে কার্য্য করিয়া “ওঁ হ্রীং কামেশ্বরী স্বাহা” মন্ত্রে প্রাণায়াম ও “ওঁ হ্রীং অঙ্গুষ্ঠা ভ্যাং নমঃ” ইত্যাদি মন্ত্রে করাঙ্গ ন্যাস পূর্বক ঘৃত ও মধু সহযোগে জ্বালিয়া পীঠ দেবতাগণের পূজা করিয়া পুনর্বার “হ্রীং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নম:” মন্ত্রে করঙ্গন্যাস পূর্বক দেবীর ধ্যান করিবেন।
ধ্যানঃ- “ওঁ কামেশ্বরীং শশাঙ্কাস্যাং খেলৎ খঞ্জস লোচনাম্।
সদা লোলগতিং কান্তাং কুসুমাস্ত্রশিলীমুখীম্।।”

ধ্যানান্তে “ওঁ হ্রীং আগচ্ছ কামেশ্বরী” ইহাগচ্ছ ইত্যাদি মন্ত্রে আবাহনাদি পঞ্চমুদ্রা দ্বারা দেবীর আবাহন পূর্বক পুনরায় ধ্যান করিয়া ষোড়শোপচারে দেবীর পূজা করিবেন। ভুর্জপত্রে গোরোচনা দ্বারা দেবীর প্রতিমূর্ত্তি অঙ্কিত করিবেন অথবা যন্ত্র অঙ্কিত করিবেন। পূজা শেষে রাত্রিকালে আপন শয্যায় বসিয়া মন্ত্রটি এক সপ্তাহকাল প্রত্যহ অষ্টোত্তর সহস্রবার (১০০৮) জপ করিবেন।
অষ্টমদিনে যথাবিধি রাত্রিকালে দেবীর পূজা সমাপন করিয়া নিম্ন লিখিত জপ মন্ত্র শষ্যায় বসিয়া জপ করিতে থাকিবেন।
জপমন্ত্রঃ- “ওঁ হ্রীং আগচ্ছ কামেশ্বরী স্বাহা।”
উক্ত মন্ত্র জপ করিতে থাকিলে অষ্টম দিনে রাত্রি তৃতীয় প্রহরে দেবী সাধকের নিকট আগমন পূর্বক অভিলষিত বর দান করেন।
সাধক তখন দেবীকে স্ত্রীরুপে কামনা করিয়া পাদ্য অর্ঘ্য দিয়া পূজা করিবেন। ইহাতে দেবী সন্তুষ্ট হইয়া নানাবিধ ঐশ্যর্য্য ও মনোরম খাদ্যদি দ্বারা সাধককে স্বামীর ন্যায় প্রতিপালন করেন। রাত্রে সাধকের সঙ্গে সম্ভোগ করিয়া প্রাতঃকালে প্রস্থান করেন। সাধক অপর স্ত্রী এবং নিজ স্ত্রীকে ত্যাগ করিয়া একমাত্র কামেশ্বরী দেবীকেই পত্নীরুপে গ্রহণ করিবেন। ইহার বীপরীত হইলে সাধকের জীবন সংশয় হইয়া থাকে।